৳ ৭৫০ ৳ ৬৩৮
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
২৭, ২৮ এবং ২৯ জানুয়ারি ২০০ কিংবা তার বেশি টাকার বই কিনলেই পাচ্ছেন ২০০ টাকা সমমূল্যের বই একদম ফ্রি !
১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ মধ্যরাতে সমগ্র বাংলাদেশব্যাপী তল্কালীন পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড্যান্ট ও গভর্নর লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খানের কঠোর আদেশে পাকি-সেনাবাহিনী যে-নিষ্ঠুর গণহত্যায় লিপ্ত হয়, মেতে ওঠে ধ্বংসলীলার নারকীয় তাণ্ডবতায়; সেটি কোনাে হটকারি সিদ্ধান্তের ব্যাপার ছিল না। বরং এটা ছিল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত একটি ব্যাপার: যা ২৫ মার্চ রাত্রি থেকে অন্তত সত্তর দিন (১৪ জানুয়ারি, ১৯৭১)। আগেই গােপন আলাপ-আলােচনাক্রমে এবং পশ্চিম-পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও ক্ষমতালি অভিজাত রাজনীতিক জনাব জুলফিকার আলি ভুট্টো সাহেবের ইচ্ছায় ঘটানাে হয়েছিল। কঠিন বাস্তবতা এই যে, যে-ব্যাপারটা বিগত একদশক ধরে পাকিস্তানের প্রথম সামরিক আইন প্রশাসক ও স্বঘােষিত প্রেসিডেন্ট ফিল্ড-মার্শাল আইয়ুব খান করব-করব করে শেষপর্যন্ত করতে সাহস পাননি; সেই ব্যাপারটায় তার সুযােগ্য উত্তরসূরি, লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান, পশ্চিম-পাকিস্তানের অভিজাত রাজনীতিক পিপলস পার্টির প্রতিষ্ঠাতা জনাব জুলফিকার আলি ভুট্টো সাহেবের চরম উষ্কানি ও ইন্ধনে সেটা করতে সম্মত হন, এবং ২৫ মার্চ সকাল সাড়ে দশটার সময় তার চূড়ান্ত অনুমােদন দেন। অতঃপর তিনি ওইদিন সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ গােপনীয়তার মধ্যে দিয়ে ঢাকা থেকে ভেগে যান। ক্ষমতায় টিকে থাকতে এছাড়া তখন তার আর করার কিছুই ছিল না! কারণ ততক্ষণে, ততদিনে মাত্র তেইশ বছর আগে জন্ম নেয়া পাকিস্তানের পূর্বাংশ, স্বৈরাচারী পশ্চিম-পাকিস্তানের থেকে প্রকৃতগতভাবেই আলাদা হয়ে গিয়েছিল, এটা তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধান হবার প্রায় সাথে-সাথেই বুঝে গিয়েছিলেন। তথাপিও পরিস্থিতি নিজেদের অনুকুলে রাখার কুপ্রচেষ্টায় তিনি, বিশদভাবে চিন্তা করে নবগঠিত পাকি-বাহিনীর ভেতর থেকে সবচেয়ে বুদ্ধিমান ও দূরদর্শী দুইজন অফিসারকে পূর্ব-পাকিস্তানের হাল ধরবার জন্য প্রেরণ করেছিলেন। তাদের একজন ছিলেন, নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল আহসান আলি। অন্যজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাহেবযাদা ইয়াকুব আলি খান।। ফিল্ড-মার্শল প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান, বাঙলার জনগণের গণ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এটা ছাড়া তার আর করার কিছুই ছিল। কারণ রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ তার উপর প্রকাশ্যে ও গােপনে, সামরিক এবং বেসামরিক (রাজনৈতিক) চাপ এসেছে। এবং তার বিরুদ্ধে নানারকম ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, এটা সম্বন্ধে যথেষ্ট ওয়াকেবহাল ছিলেন। যার জন্য তিনি তার দীর্ঘ শাসনামলে সেনাবাহিনীর উচ্চভিলাষী ও বিপজ্জনক উর্ধতন অফিসারদের যােগ-বিয়ােগের মধ্যে রাখতেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাতেও তার শেষ রক্ষা হয় না। জুলফিকার আলি ভুট্টোর সহায়তায়-ইন্ধনে জেনারেল ইয়াহিয়া খান তাকে বন্দুক দেখিয়ে। কুপােকাৎ করে ফেলেন। অতঃপর সেই একই ধারাবাহিকতায় জনাব জুলফিকার আলি ভুট্টো সাহেব, লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এবং প্রেসিডেন্টের একনিষ্ঠ পার্শ্বচর ও জেনারেল। স্টাফ-অফিসার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল গুল। হাসানের সহায়তায় জেনারেল আগা মােহম্মদ ইয়াহিয়া খানকে কুপােকাত করে দিতে সক্ষম হন। ১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বরের অপরাহ্নে!
Title | : | উপাখ্যান : মুজিব-ইয়াহিয়া-ভুট্টো এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ |
Author | : | সাইদ হাসান দারা |
Publisher | : | সময় প্রকাশন |
ISBN | : | 9789849179665 |
Edition | : | 2016 |
Number of Pages | : | 600 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
If you found any incorrect information please report us